আজ এই "বৃষ্টিবেদনার" দিনে..
আজ ভোরের আলো ফুটার পর্বেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি ।হঠাৎ ঘুম ভে্ঙ্গে গেলে বিছানা থেকে উঠেই কি যেন কি মনে করে জালানার পাশে এসে দাঁড়ালাম ।বর্ষা তো কবেই শেষ গেছে ? তবুও হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে একটু অবাকই বৈ-কি । কিন্তু প্রকৃতি তার আপন মহিমায় সব নিয়ম ভেঙ্গে চুড়ে নতুন নিয়ম তৈরীতে ব্যাতিব্যস্ত ।পরক্ষনেই মনে হল এ যেন হঠাৎ কোন বৃষ্টি নয় ।শীতের আগাম বার্তা নিয়েই যেন এই অসময়ে বৃষ্টি হাজির । জালানায় দাড়িয়ে বৃষ্টির এমন ঝনঝন শব্দে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই এক পা দু পা করে চলে গেলাম কল্পনার জগৎ পেরিয়ে সেই অতীতের স্মৃতিময় সময়গুলোতে । আজ যেন প্রতিটি বৃষ্টির ফোটার মতই চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেই হারানো দিনগুলো । এ যেন এক বৃষ্টিবেদনার দিন । বৃষ্টি কখনো সুখের কখনো বেদনাবিদুর । তাই আজ আমি এই দিনটাকে “বৃষ্টিবেদনার দিন” বলেই অভিহিত করলাম । বৃষ্টি ঠিক কখন থামবে তা যেমন জানা নেই ঠিক আমার, ঠিক তেমনি ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আমাকে কখন মুক্তি দেবে তাও জানা নেই আমার ।তাই স্মৃতিবৃষ্টির ভীরে আজ ভেসে যাব ।কারন আজ শুক্রবার অফিস ছুটি,আজ অনেকদিন পর হয়তো সারাদিন বাসায় । আমার মনের কৌতুহল সেই হয়তো বুঝবে এমন আশিবীষে ধ্বংশেছে যারে ।----
মনে পড়ে গেল সেই দিনগুলো, যে দিনগুলোতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ভিজে হৈ প্রচন্ড হুল্লোর, গায়ে কাদা মেখে দৌরলাফ, আবার দুচোখ বন্দ্ব করে মুখ খুলে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকা, ফুটবল খেলা কিংবা গোল্লাছুট খেলা ,আবার বৃষ্টি শেষে দীঘির পানিতে দীর্ঘ গোসলে মেতে উঠা ।এমন বৃষ্টিভেজা দিনে মায়ের হাতে রান্না করা গরম গরম ভুনা খিচুরীর ঘ্রানে মন মাতোয়ারা হওয়া ।আজও সাধ হয় কিন্তু সাধ থাকা সত্তেও এমন শহুরে জীবনে আর তা হয়ে উঠে না ।
কোন মন্তব্য নেই