শিক্ষা পরিবারে জন্ম তাই একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা
আজ
আমার স্কুল জীবনের শ্রদ্ধেয় স্যারদের নিয়ে লেখার শেষ পর্ব আজ । কি ভূল,
কি শুদ্ধ-মনে যা উদয় হয়েছে হয়তো তাই লিখে ফেলেছি । শ্রদ্ধেয় স্যারদের
উদ্দেশ্যে করে অত্যন্ত বিনয়ের সাথেই বলছি, আমার কোন মন্তব্যে আপনারা যদি
মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন একজন ছাত্র হিসেবে নিজ গুনে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন
এতটুকু আশা রাখি।এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের কোন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীও
যদি আমার কোন কথায় কষ্ট পেয়ে থাকে তবুও আমি ক্ষমা প্রার্থী ।যারা আমার সাথে ছিলেন,যারা আমার লেখা পড়েছেন, লাইক দিয়েছেন, কমেন্ট করেছেন ও শেয়ার করেছেন তাদের প্রতি আমি প্রীতিমুগ্ধ ।
আজ যে স্যারকে নিয়ে লিখব হয়তো তা সবাই বুঝতে পেরে গেছেন ।হ্যা, মোঃ মোমারফ হোসেন । জন্ম ২৯ শে নভেম্বর ১৯৭২ সনে বেলতৈল মির্জাপুর, টাংগাইল ।তিনি করোটিয়া শাহাদাৎ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,কম,ও বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।পিতা আব্দুর রশিদ খান । মাতা আছিয়া বেগম । পিতা আব্দুর রশিদ ছিলেন জাথালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য সহকারী শিক্ষক । দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন ।বৃহত্তর জাথালিয়ার শিক্ষা বিস্তারে আব্দুর রশিদ স্যারের ব্যাপক অবদান রয়েছে । এ গ্রামে তার অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে । শিক্ষা পরিবারে জন্ম তাই একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা । দেখতে সুদর্শন ও আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী । শিক্ষার্থীদের সাথে খুবই কম মিশতেন ।নির্ধারিত বিষয় ছাড়া অযাচিত বিষয়, অযাচিত প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যেতেন স্বভাব সুলভ ভাবেই । তার মুখের মহিয়ান হাসি খুব কম শিক্ষার্থীরই দেখার সৌভাগ্য হয়েছে । কিন্তু যখন হাসতেন প্রানখুলেই হাসতেন ।
আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা মনে হলেই আজো স্যারের মুখটি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে ।তখন আমরা নবম শ্রেনীতে পড়ি , একদিন হঠাৎআমাদের ক্লাসমেট বন্দু রফিক অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে জালানায় পাশে উকি মেরে কি যেন কি বলছিল । যে কোন মুহুর্তে স্যার ক্লাশে চলে আসতে পারে ভেবে বন্দু রফিকে পেছন থেকে ডেকে এলাম .. রফিক ক্লাসে চল এক্ষুনি স্যার চলে আসবে । কিন্তু ঠিক ঐ সময় কে শোনে কার কথা ।
রফিক সাড়া না দিয়ে উল্টো আমাকে বললো –
যা ডিস্টার্ব করিস না ,,,
আমি চলে আসার পরক্ষনেই যথারীতি স্যার চলে এল ।জালানায় রফিককে উকি মারতে দেখেই স্যার পেছন থেকে বেত দিয়ে আলতো করে সংকেত দিলেন । কিন্তু বেচারা রফিক সেটা বুঝতেই চেষ্টা করল না, যে স্যার এসে গেছে । সে আমাকে ভেবেই উল্টো স্যারকে বলে বসল
যা ডিস্টার্ব করিস না ,,,
স্যারের পেছনে থাকা সব ছাত্রীরা সজোড়ে হেসে উঠলে রফিকের ভ্রম ফিরে আসে । কাচোমাচো মুখে বিনয়ের সাথে স্যারকে সালাম দিয়ে ক্লাসে চলে আসে ।
ব্যাক্তিগত সুন্দর আচার আচরনে, ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে পরিমার্জিত ব্যবহার, কথাবার্তায় ও চারিত্রিক মাধুর্যতায় স্যার ছিলেন এক অনন্য উচ্চতায় ।
আজ যে স্যারকে নিয়ে লিখব হয়তো তা সবাই বুঝতে পেরে গেছেন ।হ্যা, মোঃ মোমারফ হোসেন । জন্ম ২৯ শে নভেম্বর ১৯৭২ সনে বেলতৈল মির্জাপুর, টাংগাইল ।তিনি করোটিয়া শাহাদাৎ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,কম,ও বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।পিতা আব্দুর রশিদ খান । মাতা আছিয়া বেগম । পিতা আব্দুর রশিদ ছিলেন জাথালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য সহকারী শিক্ষক । দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন ।বৃহত্তর জাথালিয়ার শিক্ষা বিস্তারে আব্দুর রশিদ স্যারের ব্যাপক অবদান রয়েছে । এ গ্রামে তার অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে । শিক্ষা পরিবারে জন্ম তাই একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা । দেখতে সুদর্শন ও আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী । শিক্ষার্থীদের সাথে খুবই কম মিশতেন ।নির্ধারিত বিষয় ছাড়া অযাচিত বিষয়, অযাচিত প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যেতেন স্বভাব সুলভ ভাবেই । তার মুখের মহিয়ান হাসি খুব কম শিক্ষার্থীরই দেখার সৌভাগ্য হয়েছে । কিন্তু যখন হাসতেন প্রানখুলেই হাসতেন ।
আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা মনে হলেই আজো স্যারের মুখটি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে ।তখন আমরা নবম শ্রেনীতে পড়ি , একদিন হঠাৎআমাদের ক্লাসমেট বন্দু রফিক অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে জালানায় পাশে উকি মেরে কি যেন কি বলছিল । যে কোন মুহুর্তে স্যার ক্লাশে চলে আসতে পারে ভেবে বন্দু রফিকে পেছন থেকে ডেকে এলাম .. রফিক ক্লাসে চল এক্ষুনি স্যার চলে আসবে । কিন্তু ঠিক ঐ সময় কে শোনে কার কথা ।
রফিক সাড়া না দিয়ে উল্টো আমাকে বললো –
যা ডিস্টার্ব করিস না ,,,
আমি চলে আসার পরক্ষনেই যথারীতি স্যার চলে এল ।জালানায় রফিককে উকি মারতে দেখেই স্যার পেছন থেকে বেত দিয়ে আলতো করে সংকেত দিলেন । কিন্তু বেচারা রফিক সেটা বুঝতেই চেষ্টা করল না, যে স্যার এসে গেছে । সে আমাকে ভেবেই উল্টো স্যারকে বলে বসল
যা ডিস্টার্ব করিস না ,,,
স্যারের পেছনে থাকা সব ছাত্রীরা সজোড়ে হেসে উঠলে রফিকের ভ্রম ফিরে আসে । কাচোমাচো মুখে বিনয়ের সাথে স্যারকে সালাম দিয়ে ক্লাসে চলে আসে ।
ব্যাক্তিগত সুন্দর আচার আচরনে, ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে পরিমার্জিত ব্যবহার, কথাবার্তায় ও চারিত্রিক মাধুর্যতায় স্যার ছিলেন এক অনন্য উচ্চতায় ।
কোন মন্তব্য নেই