সৃজনশীলতার অগ্রপথিক, বাংলা মাত্র তিনটি অক্ষর (রউফ),যার নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে
সৃজনশীলতার অগ্রপথিক, কে তিনি ?
বাংলা মাত্র তিনটি অক্ষর (রউফ),
যার নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ।
শ্রদ্ধেয় আব্দুর রউফ শিকদার । আমাদের প্রিয় আঙ্গিনা প্রাণের স্পন্দন জাথালিয়া মজিদচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক টিচার । আমার শ্রদ্ধাভাজন স্যার । জন্মগ্রহন করেন ৩০ শে জুন ১৯৫৯ সনে, গোসাইবাড়ী কালিয়াকৈর ,গাজীপুরে । পিতা-মো: ইমাম আলী । মাতা সামসুন্নাহার বেগম । তিনি তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত করোটিয়া শাদাত কলেজ থেকে বি,এস এস ( সম্মান) ও বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।
বাংলা মাত্র তিনটি অক্ষর (রউফ) যার সকল শুভ কর্মের সাক্ষ্য বহন করেন ।শুধু তাই নয় এই তিনটি অক্ষরই স্যারের নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সার্থক উপমা হয়ে । স্যারের কৌতুলী প্রশ্নোত্তরের মধ্য দিয়েই তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠতো তা স্কুলের সকল ছাত্র/ছাত্রীরই জানা।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।স্বভাবসুলভ ভাবেই প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন দুরন্ত সাহসী । প্রচন্ড দাপট ও বলিষ্ট কন্ঠের অধিকারীও ছিলেন ।স্যারের ক্লাশকে মাঝে মাঝে মনে হতো বড়সড় রাজনৈতিক মঞ্চ। যদিও কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, বরং কৃষি শিক্ষা বিষয় পড়াতেন স্যার । সোজা সাপটা কথা ঘুড়িয়ে পেচিয়ে বলাটা খুবই অপছন্দই ছিল তার । কিন্তু ভুল করেও কোনদিন পাঠ্য বই ছুয়ে দেখেননি । অবশ্য প্রয়োজনও পড়েনি কখনো পাঠ্য বই ছুয়ে দেখার । কারন কৃষি শিক্ষা বইয়ের প্রতিটা অধ্যায়ে যেন স্যারের গভীর জ্ঞান নিহিত ছিল । চোখ বন্ধ করেও ঘন্টার পর ঘন্টা অনর্গল লেকচার দিয়ে যেতেন । বইয়ের প্রতিটা অধ্যায় ছাত্র/ছাত্রীদের মাথায় ডুকিয়েই তবে স্যার ক্লাশ ছেড়েছেন ।
বই কেনার কথা বলরেই স্যারের সোজাসাপটা উত্তর ছিল..এমন
কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়ে যদি কৃষি শিক্ষা বই পড়তে হয় তবে যারা নাকি শহরের ইট পাথরের বুকে জন্ম নিয়েছে তারা পড়বে কি ?
স্যারের এমন জবাবে কোন ছাত্র/ছাত্রীই স্কুলে কৃষি শিক্ষা বই নিয়ে আসতো না । যাও দু-একজন ছাত্র/ছাত্রী কৃষি শিক্ষা বই নিয়ে আসতো তাও আবার লুকিয়ে রাখতো, স্যারের সম্মূখে বের করার সহস পেত না ।
পুঁথিগত বিদ্যায় তিনি কখনোই বিশ্বাসী ছিলেন না । তিনি জানতেন মুখস্ত বিদ্যা ও পুঁথিগত বিদ্যায় কখনো প্রাণের স্পন্দন জাগে না । প্রচন্ড বাস্তববাদী ছিলেন তিনি । সৃজনশীলতার অগ্রপথিক ।
পরীক্ষার খাতায় নাম্বার দিতে তিনি কখনোই কার্পন্য করেননি । একটু ভাল লিখলেই উদার চিত্তে দুহাত ভরে নাম্বার দিতেন স্যার । মাঝে সাজে আবার নাম্বারের সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করে যেতেন ।
আমাদের এক ক্লাশমেট কোন এক পরীক্ষায় ভুল করে ৫টি প্রশ্নের উত্তরের জায়গায় ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলে। ।ছাত্রের হাতের লেখাটাও ছিল চমৎকার ।৫টি প্রশ্নে ৭ করে নাম্বার jকরে পেলে তার নাম্বর হতো =৩৫ । এ ছাত্র ভুল করে পেয়েছিল ৭ করে ৬ টি প্রশ্নে ৪২ নাম্বার । এখন হয়তো স্যার বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন মহান বাব্বুল আলামীনের নিকট আমি স্যারের সর্বাঙ্গীন সুস্থতা কামনা করছি
বাংলা মাত্র তিনটি অক্ষর (রউফ),
যার নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ।
শ্রদ্ধেয় আব্দুর রউফ শিকদার । আমাদের প্রিয় আঙ্গিনা প্রাণের স্পন্দন জাথালিয়া মজিদচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক টিচার । আমার শ্রদ্ধাভাজন স্যার । জন্মগ্রহন করেন ৩০ শে জুন ১৯৫৯ সনে, গোসাইবাড়ী কালিয়াকৈর ,গাজীপুরে । পিতা-মো: ইমাম আলী । মাতা সামসুন্নাহার বেগম । তিনি তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত করোটিয়া শাদাত কলেজ থেকে বি,এস এস ( সম্মান) ও বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।
বাংলা মাত্র তিনটি অক্ষর (রউফ) যার সকল শুভ কর্মের সাক্ষ্য বহন করেন ।শুধু তাই নয় এই তিনটি অক্ষরই স্যারের নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সার্থক উপমা হয়ে । স্যারের কৌতুলী প্রশ্নোত্তরের মধ্য দিয়েই তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠতো তা স্কুলের সকল ছাত্র/ছাত্রীরই জানা।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।স্বভাবসুলভ ভাবেই প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন দুরন্ত সাহসী । প্রচন্ড দাপট ও বলিষ্ট কন্ঠের অধিকারীও ছিলেন ।স্যারের ক্লাশকে মাঝে মাঝে মনে হতো বড়সড় রাজনৈতিক মঞ্চ। যদিও কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, বরং কৃষি শিক্ষা বিষয় পড়াতেন স্যার । সোজা সাপটা কথা ঘুড়িয়ে পেচিয়ে বলাটা খুবই অপছন্দই ছিল তার । কিন্তু ভুল করেও কোনদিন পাঠ্য বই ছুয়ে দেখেননি । অবশ্য প্রয়োজনও পড়েনি কখনো পাঠ্য বই ছুয়ে দেখার । কারন কৃষি শিক্ষা বইয়ের প্রতিটা অধ্যায়ে যেন স্যারের গভীর জ্ঞান নিহিত ছিল । চোখ বন্ধ করেও ঘন্টার পর ঘন্টা অনর্গল লেকচার দিয়ে যেতেন । বইয়ের প্রতিটা অধ্যায় ছাত্র/ছাত্রীদের মাথায় ডুকিয়েই তবে স্যার ক্লাশ ছেড়েছেন ।
বই কেনার কথা বলরেই স্যারের সোজাসাপটা উত্তর ছিল..এমন
কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়ে যদি কৃষি শিক্ষা বই পড়তে হয় তবে যারা নাকি শহরের ইট পাথরের বুকে জন্ম নিয়েছে তারা পড়বে কি ?
স্যারের এমন জবাবে কোন ছাত্র/ছাত্রীই স্কুলে কৃষি শিক্ষা বই নিয়ে আসতো না । যাও দু-একজন ছাত্র/ছাত্রী কৃষি শিক্ষা বই নিয়ে আসতো তাও আবার লুকিয়ে রাখতো, স্যারের সম্মূখে বের করার সহস পেত না ।
পুঁথিগত বিদ্যায় তিনি কখনোই বিশ্বাসী ছিলেন না । তিনি জানতেন মুখস্ত বিদ্যা ও পুঁথিগত বিদ্যায় কখনো প্রাণের স্পন্দন জাগে না । প্রচন্ড বাস্তববাদী ছিলেন তিনি । সৃজনশীলতার অগ্রপথিক ।
পরীক্ষার খাতায় নাম্বার দিতে তিনি কখনোই কার্পন্য করেননি । একটু ভাল লিখলেই উদার চিত্তে দুহাত ভরে নাম্বার দিতেন স্যার । মাঝে সাজে আবার নাম্বারের সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করে যেতেন ।
আমাদের এক ক্লাশমেট কোন এক পরীক্ষায় ভুল করে ৫টি প্রশ্নের উত্তরের জায়গায় ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলে। ।ছাত্রের হাতের লেখাটাও ছিল চমৎকার ।৫টি প্রশ্নে ৭ করে নাম্বার jকরে পেলে তার নাম্বর হতো =৩৫ । এ ছাত্র ভুল করে পেয়েছিল ৭ করে ৬ টি প্রশ্নে ৪২ নাম্বার । এখন হয়তো স্যার বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন মহান বাব্বুল আলামীনের নিকট আমি স্যারের সর্বাঙ্গীন সুস্থতা কামনা করছি
কোন মন্তব্য নেই