আমাদের ক্ষমা করবেন স্যার, আপনার এমন দু:সময়ে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ছাড়া আপনার জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি ।।।
আমাদের ক্ষমা করবেন স্যার,
আপনার এমন দু:সময়ে
মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ছাড়া
আপনার জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি ।।।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান (বিএসসি)। আামদের বিজ্ঞান ও গনিত শিক্ষক । জন্মগ্রহন করেন ১৫ই জুন ১৯৭২ সনে । টেকিবাড়ী, চাঁনপুর কালিয়াকৈর গাজীপুর । পিতা: মরহুম আব্দুল হাকিম । ১৯৯১ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ থেকে বি,এস,সি ডিগ্রি অর্জন করেন ।টিচার্জ ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা থেকে বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।
স্যার আমাদের গণিত, পদার্থ ও জীববিজ্ঞান বিষয় পড়াতেন ।এনকজন সুরুচিশীল, প্রখর ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নির্ভেজাল মানুষ ।
দীর্ঘ সময় স্কুল হোস্টেলে অবস্থান করার ফলে স্যারের সাথে আমার ঘনিষ্টতা একটু বেশীই ছিল । তবে ভয়ের সঞ্চারও যে কম ছিল এমনটা নয়। তিনি রাত্রিবেলা স্কুল হোস্টেলে আমাদের সাথেই থাকতেন এবং আমাদের দিনরাত গাইড করতেন । সে সময়গুলোতে স্যারের সাথে আমার অজস্র স্মৃতি জড়িয়ে আছে । মনের ফ্লেমে বাঁধিয়ে রাখার মত একটি ঘটনা যা আজো স্মৃতিপটে ভেসে উঠে পরম সুখে আচ্ছন্ন হয়ে ।
সেই ১৯৯৮ সালের কথা, তখন আমি সবেমাত্র অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি । আমি আর নবম শ্রেণীর সিনিয়র ছাত্র মো: এরশাদ আলী ( বর্তমানে কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক) কোন এক রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্যারকে রুমে তালাবদ্ধ রেখে বাহিরে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে । মধ্যরাতে হঠাৎ সারের পানি পিপাসা পায় । ঘটনাক্রমে রুমের ভেতর কোন পানি ছিল না। দরজা বাহির থেকে তালা বদ্ধ থাকায় টিউবয়েল থেকেও পানি আনা সম্ভবপর হয়নি ।
গভীর রাত অবধি আডা থেকে ফিরে চুপিসারে ঘরে ডুকে দেখি স্যার দঁড়ি ও লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে । চোখে মুখে তার প্রচন্ড ক্রোধের ছাপ । লাঠি ও দঁড়ি হাতে স্যারকে দেখে আমাদের বুঝতে একটুও কষ্ট হয়নি যে আমাদের দুজনার জন্য কি ভয়ন্কর পরিনতি অপেক্ষা করছে । সত্যিই ভীষন ভীষন ভয় পেয়েছিলাম সেদিন । কিন্তু স্যার আমাদের প্রচন্ড ভালবাসতেন এবং স্নেহ করতেন ।তাই আমাদের দিকে তাকাতেই স্যারের সব রাগ মাটিতে মিলিয়ে গেল । আমরা স্যারের কাছে ক্ষমা চাইলাম তিনি আমাদের কাছে ডেকে নিলেন এবং অবলীলায় সব দোষত্রুটি ক্ষমা করে দিলেন ।
সত্তিই স্যারকে দেখে সব ছাত্র/ছাত্রীই খুব ভয় পেতেন । আবার সবচেয়ে বেশী ভালবাসা, স্নেহ মমতাও পেতেন স্যারের কাছ থেকেই ।উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ও দূরদৃষ্টি সম্পর্ন একজন মানুষ । স্যারের সাথে কাটানো সেই সব দিনলিপি কখনো আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে মুছে ফেলা যাবে না জানি ।
স্যার আজ কঠিন রোগে আক্রান্ত । অথচ আমরা যারা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছি-- আজ হয়তো আমরা তাকে ভুলতে বসেছি । তার কোন খোজখবর রাখি না না, রাখতেও চেষ্টা করি না । তাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীর উচিৎ স্যারের এই দু:সময়ে কিছু করতে না পারলেও অন্তত তার আশু রোগমুক্তির জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা । যেন তিনি সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরে যেতে পারেন ।আমরা স্যারের সকল ছাত্র/ছাত্রী স্কুলের চিরচেনা আঙ্গিনায় আবার স্যারের সু-মসৃন পায়ের শব্দ শুনতে চাই , সেই চিরচেনা মুখের মুচকি হাসি দেখতে চাই -সকাল থেকে বিকাল অবধি ।
আপনার এমন দু:সময়ে
মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ছাড়া
আপনার জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি ।।।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান (বিএসসি)। আামদের বিজ্ঞান ও গনিত শিক্ষক । জন্মগ্রহন করেন ১৫ই জুন ১৯৭২ সনে । টেকিবাড়ী, চাঁনপুর কালিয়াকৈর গাজীপুর । পিতা: মরহুম আব্দুল হাকিম । ১৯৯১ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ থেকে বি,এস,সি ডিগ্রি অর্জন করেন ।টিচার্জ ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা থেকে বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।
স্যার আমাদের গণিত, পদার্থ ও জীববিজ্ঞান বিষয় পড়াতেন ।এনকজন সুরুচিশীল, প্রখর ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নির্ভেজাল মানুষ ।
দীর্ঘ সময় স্কুল হোস্টেলে অবস্থান করার ফলে স্যারের সাথে আমার ঘনিষ্টতা একটু বেশীই ছিল । তবে ভয়ের সঞ্চারও যে কম ছিল এমনটা নয়। তিনি রাত্রিবেলা স্কুল হোস্টেলে আমাদের সাথেই থাকতেন এবং আমাদের দিনরাত গাইড করতেন । সে সময়গুলোতে স্যারের সাথে আমার অজস্র স্মৃতি জড়িয়ে আছে । মনের ফ্লেমে বাঁধিয়ে রাখার মত একটি ঘটনা যা আজো স্মৃতিপটে ভেসে উঠে পরম সুখে আচ্ছন্ন হয়ে ।
সেই ১৯৯৮ সালের কথা, তখন আমি সবেমাত্র অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি । আমি আর নবম শ্রেণীর সিনিয়র ছাত্র মো: এরশাদ আলী ( বর্তমানে কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক) কোন এক রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্যারকে রুমে তালাবদ্ধ রেখে বাহিরে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে । মধ্যরাতে হঠাৎ সারের পানি পিপাসা পায় । ঘটনাক্রমে রুমের ভেতর কোন পানি ছিল না। দরজা বাহির থেকে তালা বদ্ধ থাকায় টিউবয়েল থেকেও পানি আনা সম্ভবপর হয়নি ।
গভীর রাত অবধি আডা থেকে ফিরে চুপিসারে ঘরে ডুকে দেখি স্যার দঁড়ি ও লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে । চোখে মুখে তার প্রচন্ড ক্রোধের ছাপ । লাঠি ও দঁড়ি হাতে স্যারকে দেখে আমাদের বুঝতে একটুও কষ্ট হয়নি যে আমাদের দুজনার জন্য কি ভয়ন্কর পরিনতি অপেক্ষা করছে । সত্যিই ভীষন ভীষন ভয় পেয়েছিলাম সেদিন । কিন্তু স্যার আমাদের প্রচন্ড ভালবাসতেন এবং স্নেহ করতেন ।তাই আমাদের দিকে তাকাতেই স্যারের সব রাগ মাটিতে মিলিয়ে গেল । আমরা স্যারের কাছে ক্ষমা চাইলাম তিনি আমাদের কাছে ডেকে নিলেন এবং অবলীলায় সব দোষত্রুটি ক্ষমা করে দিলেন ।
সত্তিই স্যারকে দেখে সব ছাত্র/ছাত্রীই খুব ভয় পেতেন । আবার সবচেয়ে বেশী ভালবাসা, স্নেহ মমতাও পেতেন স্যারের কাছ থেকেই ।উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ও দূরদৃষ্টি সম্পর্ন একজন মানুষ । স্যারের সাথে কাটানো সেই সব দিনলিপি কখনো আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে মুছে ফেলা যাবে না জানি ।
স্যার আজ কঠিন রোগে আক্রান্ত । অথচ আমরা যারা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছি-- আজ হয়তো আমরা তাকে ভুলতে বসেছি । তার কোন খোজখবর রাখি না না, রাখতেও চেষ্টা করি না । তাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীর উচিৎ স্যারের এই দু:সময়ে কিছু করতে না পারলেও অন্তত তার আশু রোগমুক্তির জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা । যেন তিনি সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরে যেতে পারেন ।আমরা স্যারের সকল ছাত্র/ছাত্রী স্কুলের চিরচেনা আঙ্গিনায় আবার স্যারের সু-মসৃন পায়ের শব্দ শুনতে চাই , সেই চিরচেনা মুখের মুচকি হাসি দেখতে চাই -সকাল থেকে বিকাল অবধি ।
কোন মন্তব্য নেই