অধ্যাবসায় যে সফলতার চাবিকাঠি স্যার হচ্ছে তার জলন্ত উদাহরণ এবং আমাদের অন্তরে তা গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছেন ।।।
মো: শফিকুল ইসলাম(বিএসসি)।বিজ্ঞান ও গনিত বিষয়ক শিক্ষক ।আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার । জন্মগ্রহন করেন ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সনে । হবুয়ারচালা, বড়ইবাড়ী, কালিয়াকৈর গাজীপুরে ।পিতা: মরহুম মানিক মন্ডল ।মাতা: জয়গুননেছা বেগম । তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত মির্জাপুর কলেজ থেকে বি,এস,সি ও বি,এড ডিগ্রি অর্জন করেন ।
ব্যাক্তি জীবনের শুরু থেকেই স্যার ছিলেন অদম্য পরিশ্রমী ও দৃঢ় প্রত্যয়ী । পড়ালেখা সমাপ্ত করে বেছে নেন শিক্ষকতার মত মহান পেশা ।তারপর থেকেই শুরু হয় নিরন্তর পথচলা । সেই কাকডাকা প্রতিটি ভোরে, কখনো শীতের কোয়াশা ভেজা সকালে রোদবৃষ্টি মাথায়, শক্তমাটি কিংবা কাদামাখা দীর্ঘ মেঠোপথ অতিক্রম করে অতপর স্কুলে আসা ।সকাল থেকেই শুরু হত কোচিং ক্লাস তারপর নির্ধারিত ক্লাশ শেষে ঠিক সন্ধা নেমে এলে বাড়ী ফেরা ।সবই যেন স্যারের প্রতি দিনকার রুটিন ছিল ।
তবুও স্যারকে কখনো বিরক্তবোধ হতে দেখিনি । কখনো তার নিজের দয়িত্বে অবহেলা করতে দেখিনি । অসীম ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রতিক ছিলেন তিনি । ভুল করেও কখনো স্যারকে তার কোন শিক্ষার্থীদের সাথে উত্তেজিত হতে দেখিনি ।খুব ঠান্ডা মাথায় আমাদের শাসন করতেন । আবার ভালও বাসতেন খুব বেশী । বলতে গেলে তার সকল শিক্ষাথীকেই তিনি দেখতেন সমভাবে স্নেহ আর মমতায় ।
সম্পূর্ন নতুন স্কুল, সংকট ছিল বহুমূখি ।তবু সকল বৈরীতার মাঝেও তিনি শিক্ষার্থীদের জীবনকে গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে গেছেন আন্তরিকভাবে ।তার কর্মময় জীবনে আত্নপ্রত্যয়, নিমানুবর্তিতা, ঐতিহ্যের চেতনাবোধ, নৈতিক মূল্যবোধ, আদর্শিক স্পৃহা, বৈজ্ঞানিক বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োগমুখিতায় তিনি আপস করেননি কখনোই । যদিও সেসময় স্কুলের কোন সুনির্দিষ্ট গবেষনাগার ছিল না, ছিল না কোন ব্যবহারিক যন্ত্রপাতির সুব্যবস্থা । তবুও সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও তিনি বিজ্ঞান শিক্ষার কাজকে সূচারুরূপে সম্পর্ন করেছেন । সকল পর্যবেক্ষন, পরীক্ষন করেছেন নিজ মেধাগুণে । অধ্যাবসায় যে সফলতার চাবিকাঠি স্যার হচ্ছে তার জলন্ত উদাহরণ এবং আমাদের অন্তরে তা গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছেন । স্যারকে অনুসরণ করেই আমরা শিখেছি কিভাবে জীবনে সফলতা অর্জন করতে হয় ।
তিনি সকল শিক্ষার্থীর অন্তরে শ্রদ্ধার আসনে আসীন থাকবেন
কোন মন্তব্য নেই